বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন। তারা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেন যে আগামী দুই দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থানকালে তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করবো যাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক বা প্রশ্ন উঠবে না। যেমন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেনি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে কে আসবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফ্যাসিস্টদের দোসররা ইতোমধ্যেই দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি শুরু করে দিয়েছে। আমরা যদি তাদের ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে যায় তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। তারা সুযোগ পেলে আবার রাজপথে এসে ষড়যন্ত্র শুরু করতে পারে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘একটি যুদ্ধে কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গতকাল ফ্যাস্টিটের দোসর রাষ্ট্রপতির যে কথাটি শুনেছিলাম, তাতে আমাদের রক্ত টগবগিয়ে মাথায় উঠে যায়। এই রক্তের ক্ষত এখনও ভাসছে। আমরা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনই তার পদত্যাগ করিয়ে ফেলি তাহলে রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হতে পারে।’
রাত সোয়া ১২টায় পর্যন্ত দেখা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের দুই দিনের সময় নেওয়া পর বিক্ষোভকারীদের একাংশ চলে গেলেও অন্যরা বঙ্গভবনে সামনে অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।