সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এদিকে সংস্কার কাজ শেষে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে বলে জানা গেছে। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেফতারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আশা করি আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ে পদক্ষেপ নেবে তারা।’
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ১ থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে বিচারকাজ শুরু করা যাবে। গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি আসিফ নজরুল। এর আগে ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তারা পুরোনো ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন– শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আকম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।