গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার পর আজ নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে ব্যারিকেড ছাড়াও আজ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গভবনের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর দপ্তর। এদিকে, সকালে বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামানসহ রায়টকার।
বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে বুধবার সকালে বঙ্গভবন এলাকায় আরো বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ এখানে বিজিবিও মোতায়েন হয়েছে।
এ ঘটনায় বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের গুলিতে এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। গুলিবিদ্ধরা হলেন– ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল ও শফিকুল ইসলাম (৪৫)। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত তরুণের নাম আরিফ (২০)।
বিজিবি সদর দপ্তরের উপমহাপরিচালক (মিডিয়া) কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বঙ্গভবন এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা অন্যান্য আইনশীল বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।