Top Newsরাজনীতি

হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন আওয়ামীবিহীন করতে হবে

মোহনা অনলাইন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন,  ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা না থাকায় দেশে শান্তি আছে এখন আওয়ামী বিহীন বাংলাদেশ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। এতো কষ্ট করলাম, মিছিল মিটিং করলাম, জেল খাটলাম। একটাই চেয়েছি, শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রয়ে গেছেন। ওই দোসরদের রেখে দেশ এগুতে পারে না। ওরা ষড়যন্ত্র করছে। তবে জামায়াত ও বিএনপি একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আর আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না। দেশের স্বার্থে জামায়াত ও বিএনপিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চলে গেছে, আমরা ভেবে ভেবে খুশি হই। কিন্তু খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। এদের চর-অনুচর এখনো বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, সচিবালয়, পুলিশ, মিলিটারি—যেখানে বলেন, এদের চর রয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ কখনোই ছেড়ে দেবে না, ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের ওপর বিভিন্ন সিস্টেম চালু করছে। আজকে এই থিওরি আসে, পরশু ওই থিওরি আসে। এ থিওরি আবার দুর্ভাগ্যবশত আমাদের মুখ থেকে বের হয়।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে আমার মিস্টি মধুর সম্পর্ক অনেকদিন আগে থেকে। ২০০১ সালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ আমার জন্য কাজ করেছিলেন, আলাদা টিম করে সহযোগিতা করেছেন। তারা প্রতিরাতে দেখা করে যেতেন। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, মীর কাশেম আলীদের সঙ্গে আমি জেল খেটেছি। জেলে তাদেরকে কাছ থেকে চিনেছি। ১৭ বার জেলে গেছি আওয়ামী লীগের আমলে। হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনগুলো কেটে গেছে। সেই কষ্টের বিনিময়েই হয়তো আমরা গত ৫ আগস্ট ফসল ঘরে তুলে নিয়েছি। কিছু পাই না পাই শান্তি একটা আছে তাহলে দেশে হাসিনা নাই।

তিনি আরও বলেন, ওনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন ড. ইউনূসকে পদ্মায় চুবানি দিতে হবে। আমার নেত্রীকে বলছিলেন, টুপ করে ফেলে দিতে হবে। আবার তিনি সেদিন বললেন চট করে যে কোনো সময় চলে আসতে পারি। এইকথাগুলো হেসে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ওরা কখনো এই অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। নানা ধরনের সিস্টেম আসছে। আজ এই থিওরি আসছে কাল ওই থিওরি। আমাদেরই কারো না কারো মুখ থেকে বের হচ্ছে সেই থিউরি। বাংলাদেশ কোনো গিনিপিগ না, কোনো টেস্ট করার রাজনীতির দেশ না। কিছু লোক থিওরি নিয়ে মাঠে কাজ করছে।

আব্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক পরিশ্রম করে রাজনীতি করেছি। পড়শু যারা জন্ম নিয়েছে তারা বুঝবে না নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীদের জীবন দেওয়ার মূল্য কি। এখনো বিএনপি’র অসংখ্য নেতা-কর্মী জেলে আছেন। অনেকে মারা গেছেন। আমার বিরুদ্ধে এখনো ১০০টার উপরে মামলা। তারপরও শান্তি আছে একটু যে গ্রেপ্তার তো হবো না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে গনঅভ্যুত্থান হয়েছে, তা বিভিন্ন কারণে ভাটা পড়ছে। ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে জামায়াত ও বিএনপির ঐক্য জোরদার করতে হবে। আর যাতে বাংলাদেশে ১৪ দলীয় জোট রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন হতে না পারে, সেজন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আব্দুস সালাম আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে অমিল থাকতে পারে। কিন্ত ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে এক হতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে দুই দল ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button