বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুব শিগগিরই চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্চেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথমে খালেদা জিয়া লন্ডনে যাবেন ছেলে তারেক রহমানের কাছে। বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরে লন্ডন থেকে তৃতীয় একটি দেশে নিয়ে তাকে কোনো একটি ‘মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে’ ভর্তি করা হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। দণ্ড থেকে মুক্ত হওয়ার আড়াই মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার খবর এলো।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। সবশেষ গত মাসে ছয়দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় তখনকার সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এমন শর্তে সাজা স্থগিত করে শেখ হাসিনা সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। শরীর বেশি খারাপ হলে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। এখন তিনি মুক্ত। বিদেশে যেতে আর কোনো বাধা নেই।