হঠাৎই দুর্ঘটনার কবলে পরীর ছেলে পূণ্য। হঠাৎ চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখের ওপরটা লাল হয়ে আছে। এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন পরী। কিন্তু কী দুর্ঘটনা তা খোলসা করেননি অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি পরীমণির ছেলে পুণ্য।
বুধবার রাতেই ছেলে আহত হয়। ছেলের বয়স প্রায় দু’বছর। হঠাৎই দুর্ঘটনার কবলে একরত্তি। পরীর পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, পূণ্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে কী করে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে কিছুই জানাননি।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি- ইনজুরড কিভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি/ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো!’
‘আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।’
এরপরের পরিস্থিতি উল্লেখ করে পরীমণি লেখেন, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না! কি করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি….এতো অসহায় লাগছিল আমার!’
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এতো ধৈর্য্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে..! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’
পরীমণির জীবনে একের পর এক ঝড়। গত বছরের শুরু থেকে দাম্পত্যজীবনে অশান্তি লেগে রয়েছে। তার পর সদ্য দাদুকে হারিয়েছেন তিনি। নিজের জন্মদিনেও প্রতি মুহূ্র্তে মনে পড়েছে দাদুর কথা। তবে জীবনে অনেক সম্পর্কই হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু ছেলে পুণ্য, মেয়ে প্রিয়ম ও দুই পোষ্যকে নিয়েই তাঁর সংসার। কিন্তু ছেলে পুণ্য নাকি ছোট থেকে বড্ড খেয়াল রাখে মায়ের। কখনও সে মায়ের পা টিপে দিচ্ছে, কখনও আবার মাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। জীবন কাটানোর জন্য ছেলের ভালবাসাই যে যথেষ্ট, তা নিজেই স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী।