যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। যেন আমরা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনার শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে গিফট করেছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি।
তিনি বলেন, আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোসহ সব কিছু নিয়ে কথা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে ওনারা (ফুটবলার) আমাদেরকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে দেবেন। সেটা আমি সরাসরি স্যারকে পৌঁছে দেব।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নারী ফুটবলাররা জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পটা সারা বছর চলার কারণে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। সেটাকে যেন সারা বছর চলমান রাখা যায়, সে আবদার তারা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাফুফের নতুন কমিটির সঙ্গে মিলে নারী ফুটবল দলের সমস্যা এবং ফুটবলের যে সমস্যা সবগুলো আমরা সমাধান করব।’
তিনি আরও বলেন, বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে বাফুফের কেউ আজকে নেই। আমার কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছে, আমরা তাদেরকে এখানে আনার ব্যবস্থা করেছি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে চেষ্টা করব। আমরা বাহির থেকে দেখি যে টিক্রেটের এত পি আর, এত কিছু, তাদের কিন্তু সমস্যা আছে। যেগুলো ছোট ছোট সমস্যা। স্পোর্টসের স্টেকহোল্ডার হচ্ছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তারাই সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। সবার ঊর্ধ্বে ছিল কমিটির মেম্বাররা, সেটা আর হবে না। এটা অন্তত আমার সময় নিশ্চিত করব ইন শা ল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি যে দুই মাসের স্যালারি ডিউ আছে। আপনারা জানেন এতদিন বাফুফে সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, নতুন কমিটির সঙ্গে আমরা এই কথাগুলো ওয়ার্ক আউট করব। ভবিষ্যতেও যেন ডিউ না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, কেন হলো এরকম? কোন কোন জায়গায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে আপনারাই (মিডিয়া) বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। সেগুলো নিয়ে অলরেডি নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি। যদি কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।