জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। জীবনের ৪০ বসন্ত পেরিয়ে ৪১ এ পা দিয়েছেন সদ্যই। ভারতেও অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রয়েছে এই অভিনেত্রীর। তবে এতো অনুরাগীর ভালোবাসায় সিক্ত থাকা বাঁধন ব্যক্তি জীবনে এখনো একা।
২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।দাম্পত্যজীবনের মাত্র চার বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। এরপর থেকে একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে থাকছেন এই অভিনেত্রী।
৪২-এ পা রেখে উপলব্ধি করছেন একজন সঙ্গীর। যা বাঁধন নিজেই জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জীবনসঙ্গী প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, “আমার মেয়ে তো এখন একটু বড় হয়েছে। ও আস্তে আস্তে বুঝছে, মায়ের সবকিছুই একা একাই করতে হয়। মাকে একা কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এক-দেড় বছর হবে জীবনসঙ্গীর কথা চিন্তা করছি।
আমি এখনও কাউকে খুঁজে পাইনি। কিন্তু নিঃসন্দেহে মনে করি, জীবনসঙ্গী দরকার আছে। এখন অনেক বেশি মনে করি যে, একজন জীবনসঙ্গী থাকতেই পারে সঙ্গে। মানুষের থাকে না। জীবনসঙ্গী শব্দটা যে বুঝবে, সে রকম কেউ যদি আসে, নিঃসন্দেহে সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে পথচলা যাবে।
কেমন জীবনসঙ্গী চান জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। আর এটা আমাদের সমাজে তো খুবই দুর্লভ। এ রকম না যে আশপাশে অজস্র খুঁজে পেয়েছি, সে রকমও না। হঠাৎ বিয়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, বিশেষ কোনো কারণ নেই। ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট। এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে।
অতীত নিয়ে আক্ষেপ করে বাঁধন বললেন, ‘বিয়ে হোক বা যাই হোক, আমার জীবনের পথচলায় কখনও সত্যিকারের একজন সঙ্গী পেয়েছি । সব সময় হয় একজন দানব পেয়েছি, না হলে যে আমাকে অত্যাচার করছে, এ রকম মানুষ পেয়েছি। আমাকে অ্যাবিউজ করছে, এ রকম মানুষই পেয়েছি। তাই ওই অর্থে আমি কোনো জীবনসঙ্গী পাইনি, এটা সত্যি। সব মিলিয়ে এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে।’
এদিকে সামনে বাঁধনকে ‘এশা মার্ডার’ সিনেমায় দেখা যাবে। সিনেমাটির কিছু অংশের শুটিং শেষ হয়েছে। বাকি অংশের শুটিং শুরু হবে। এছাড়াও হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে অভিনেত্রীর।