ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পর ২৪ দিন গত ১ নভেম্বর থেকে তুলে নেওয়া হয় সব ধরনের বিধি-নিষেধ। এতে আবারও পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে রাঙামাটির বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, পর্যটক আসতে শুরু করলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
এদিকে সকাল থেকেই রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। দলে দলে পর্যটকদের ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ঝুলন্ত সেতু দিয়ে হাঁটা-চলার পাশাপাশি অনেকেই কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার করেছেন। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মোহিত পর্যটকরা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। অনেকদিন পর রাঙামাটিতে আসতে পেরে তারা খুশি।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক শারমিন আক্তার বলেন, সমতলের চেয়ে পাহাড়ি জেলা সুন্দর। মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। ভালো লাগছে অনেক। জামালপুর থেকে ঘুরতে আসা ফারজানা আক্তার বলেন, সকালে বোটে সুবলং গিয়েছি। সুবলংয়ে যাওয়া-আসার পথে হ্রদের দুই পাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালো লেগেছে। সুবলং ঘুরে এসে এখন ঝুলন্ত সেতু এসেছেন। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে আমি বিমোহিত।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দিন হিসেবে আজ বেশ ভালোই পর্যটক সমাগম হয়েছে। সবাই ঝুলন্ত ব্রিজে যাচ্ছেন। সেখানে বোট নিয়ে পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করছেন। পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ডেস্ক ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম সানি বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। আমাদের হোটেলে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ বুকিং রয়েছে। অন্যান্য হোটেলগুলোতেও একই বুকিং রয়েছে। আশা করছি সামনে ভালো একটা ব্যবসা হবে।