ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় যিনি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন তিনি হলেন আমেরিকার শীর্ষ ধনকুবের, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ দপ্তরটিতে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্প নিজেই এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
১৩ নভেম্বর, বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন ইলন মাস্ক। অনুদানও দিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি ডলার। অবশ্য ট্রাম্প জেতার পরে মাস্কের সম্পদ বাড়ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। বিজয়ী ভাষণে বিশেষভাবে মাস্কের কথা বলেছেন ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট’। তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, আগামী প্রশাসনে টেসলার মালিককে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে দেখা যেতে পারে।
অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, ইলন মাস্ক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীকে নতুন একটি দপ্তরের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। দপ্তরটির নাম হবে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’।
আগে থেকেই আলোচনায় ছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্ক সরকারি কর্মকাণ্ডে দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছেন।
ট্রাম্প তার বিবৃতিতে লিখেছেন, এই দুইজন অসাধারণ আমেরিকান মিলে সরকারি আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটানোর পথ তৈরি করবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের বাড়াবাড়ি ও অর্থের অপচয় রোধ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনে কাজ করবেন তারা, যা ‘সেইভ আমেরিকা’ উদ্যোগের জন্য অপরিহার্য।
ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এজেন্সির সংক্ষিপ্ত রূপ, ডিওজিই বা ডোজ। এর সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি ডোজকয়েনের নামের মিল লক্ষণীয়। মাস্ক ডোজকয়েনকে ‘দ্য পিপল’স্ ক্রিপ্টো’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
দপ্তরের দায়িত্ব পাওয়া অপর রিপাবলিকান বিবেক রামাস্বামী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য ট্রাম্পের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি চলতি বছরের শুরুতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে, ২০২২ সালে অবশ্য তিনি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পতনের ইঙ্গিত দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ‘ট্রাম্পের টুপি খুলে ঝুলিয়ে রাখা এবং সূর্যাস্তের দিকে যাত্রা করার সময় এসেছে।’