সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গিয়ে বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিংয়ে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলেন।বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনায় জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি জানিয়েছে, জেনেভা মিশনের লোকাল স্টাফ হিসেবে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি ডিসমিসের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হেনস্তার ঘটনার তিন মাস্টারমাইন্ডসহ প্রায় সবাইকেই শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, সরকার জেনেভায় আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছে। তার সঙ্গে প্রটোকল থাকার পরও কেন এমন ঘটনা ঘটল এবং এর সঙ্গে কাদের যোগসাজশ রয়েছে তা জানতে চেয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে, জেনাভার ঘটনার পর বিদেশস্থ বাংলাদেশের সব মিশনে জরুরি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। সেসব পরিপত্রে দুটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিদেশ সফরকালে যথাযথ প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ২. যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রদূতসহ সকলকে সর্বতোভাবে সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে।