বুধবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ওভাল অফিসে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বৈঠক হয়, যা দেশটির ক্ষমতার পালাবদলের ঐতিহ্যের অংশ। খবর আলজাজিরার।
বাইডেনের কাছে পরাস্ত হয়েই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। এ বার বাইডেনের ডেপুটি কমলা হ্যারিসকে পরাস্ত করে ফের আমেরিকার ‘সাদা বাড়ি’তে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন ট্রাম্প। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তার দু’মাস আগেই বুধবার হোয়াইট হাউসে পা রাখলেন হবু প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে জয়ের পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলেন হবু প্রেসিডেন্ট। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের।
হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, “পুনরায় স্বাগত”। ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মসৃণ ভাবে হবে বলে হবু প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এ বারের নির্বাচনেও প্রথমে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ ছিলেন বাইডেনই। তবে তাঁর বয়সের কারণে ডেমোক্র্যাটিক দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে।
এমন অবস্থায় মধ্যবর্তী পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বছর একাশির বাইডেন। বাইডেনের পরিবর্তে হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ট্রাম্পের বিপরীতে। কিন্তু পরাজিত হন রিপাবলিকান প্রার্থীর কাছে। নিয়ম অনুযায়ী আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের শপথ নিতে এখনও দু’মাস বাকি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে।
এটি ছিল বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর একবার ওভাল অফিসে এই দুই নেতা সাক্ষাৎ করেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জয়লাভের পরেই ট্রাম্প তার আসন্ন প্রশাসন সাজাচ্ছেন। নতুন প্রশাসন সাজানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্প সেই সব রিপাবলিকান কর্মকর্তাদের নিয়ে আসতে চাইছেন যারা গত চার বছরে তার প্রতি রাজনৈতিক ভাবে সর্বাধিক বিশ্বস্ত থেকেছেন।
জানা গেছে, হ্যারিসের পরাজয়ের পর থেকে ডেমোক্র্যাটিক শিবিরের কেউ কেউ তাঁকে স্বল্পকালের জন্য প্রেসিডেন্ট করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। বাইডেন-কমলার ঘনিষ্ঠ একাংশ চাইছেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিয়ে আগামী দেড় মাস কমলাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসান। যদিও বাইডেন বা কমলা কেউই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। অপর দিকে ট্রাম্পও নিজের আগামী প্রশাসনের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন। কারা থাকবেন ট্রাম্পের প্রশাসনে, তা নিয়ে বিস্তর চর্চাও শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের নামও উঠে এসেছে। সম্প্রতি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জ়েলেনস্কি। আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ফোনালাপের একটি পর্যায়ে ইলনের সঙ্গেও কথা হয়েছে জ়েলেনস্কির।