ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে ১৫ নভেম্বর। এই সময় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হলো।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধনের উদ্যোগ :
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ যুগোপযোগী করতে আইনটির আটটি ধারায় সংশোধনে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বিদ্যমান এ আইনটিকে আরো যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া সংগঠকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদরা অংশ নেন।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘যেসব নেতা বা যেসব ব্যক্তি এখানে (ট্রাইব্যুনালে) বিচারের সম্মুখীন হবে, তাদের যারা সমর্থক আছেন, তাদেরও যেন মনে হয় সত্যি উনি (যিনি বিচারের সম্মুখীন হবেন) অন্যায় করেছেন বা অন্যায় করেননি, তারাও যেন সন্তুষ্ট থাকেন। আমরা এই সমাজে আর ক্ষত চাই না। বিভাজন চাই না। বিচারের মধ্য দিয়ে একটা পুনর্মিলন প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা :
গত ১৭ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়া মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর করে প্রসিকিউশন গঠন করা হয়। মোট ১০ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর পদে মো: মাজহারুল হককে (অ্যাডিশনাল ডিআইজি, অবসরপ্রাপ্ত) এবং কো-অর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেয়া হয়।
সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ কালো আইন খ্যাত আইনগুলো বাতিলে উদ্যোগ :
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গত ৩ অক্টোবর মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রণীত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পুরোপুরি বাতিলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
আইন উপদেষ্টা উপস্থিত সবাইকে জানান, আইনটি বাতিলই করা হবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বতনমূলক আইন হিসেবে পরিচিতি পায় সাইবার নিরাপত্তা আইন। সাইবার নিরাপত্তার জন্য আইন করা হলেও অতীতে এটি ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএস) বাতিল করা হচ্ছে। আইনটি যখন বাতিল করা হবে তখন স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত সমস্ত হয়রানিমূলক মামলা রহিত হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে আইন :
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘বিচার বিভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করা হবে। কমিশন বিভিন্ন শ্রেশি-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করছেন।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন :
স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ৩ অক্টোবর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় ৬ অক্টোবর।
কমিশন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করছেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করে যাবে।
১২ নভেম্বর বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টার সাথে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘ওনারা যেভাবে এগোচ্ছেন, আমি খুবই আশাবাদী।’
অধঃস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা :
অধঃস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করা :
দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ যুগোপযোগী করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন ও বিচার বিভাগ।
গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত ফৌজদারি ও হয়ারানিমূলক মামলা প্রত্যাহার :
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে বিগত আওয়ামী সরকারের দায়ের করা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার। সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিচার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন :
মডেল ই-কোর্ট স্থাপনে এবং মডেল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা :
স্থায়ী সরকারি এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের আচরণবিধি যুগোপযোগীকরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
অবকাঠামো নির্মাণে সিদ্ধান্ত :
দেশের ২৩ জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ছয়টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচটি মহানগর দায়রা জজ ১০টি জেলা জজ আদালতের ভবন নির্মাণ এবং ২৩টি জেলা জজ আদালতের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন ডিজিটালাইজেশনে বিভিন্ন কার্যক্রম :
ডেভেলপমেন্ট পার্টনারসদের সহায়তায় একটি মডেল ই-কোর্ট স্থাপন করা। যেখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে রায় প্রকাশ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ধাপের কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এই মডেল ই-কোর্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীতে সারাদেশে ই-কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মডেল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপন :
ডেভেলপমেন্ট পার্টনারসের সহায়তায় একটি মডেল সাব-রেজিস্ট্রি স্থাপন করা। যেখান নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পাদিত হবে। আটটি বিভাগীয় জেলায় পাইলট ভিত্তিতে আইনগত তথ্য সেবা কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সমন্বিতভাবে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে সত্যায়ন সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগে বিচারক নিয়োগ :
বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধঃস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখার কার্যক্রমের পুনবিন্যাস-এর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে কর্মকর্তা নিয়োগ :
এটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
অধস্তন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ :
বিজিবির বিস্ফোরক মামলার জন্য ২০ জন ও ৩১ জেলার অধস্তন আদালতসমূহে ১৩০০০ জন আইন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট জেলা সমূহে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার :
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সকল ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী :
বিচারকগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণের এবং রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাগণ তথা সাব-রেজিস্ট্রার, জেলা রেজিস্ট্রার ও নিবন্ধন অধিদফতরের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব বিবরণী ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগ ও এর অধীন দফতর সংস্থার কর্মচারীদের অর্জিত সম্পদের বিবরণী দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
গুম বিরোধী সনদ ও কমিশন :
গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
বিগত সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত তদন্ত কমিশন গঠনে আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের প্রশিক্ষণ ও প্রতিবেদন শাখা থেকে বলা হয়, বর্তমান সরকার গত ৮ আগস্ট থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১০টি অধ্যাদেশ ৯৫টি সংবিধিবদ্ধ প্রজ্ঞাপন ও আদেশ (এসআরও), ৩৩টি বৈদেশিক বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পাদন করেছে।
সংবিধিবদ্ধ প্রজ্ঞাপন ও আদেশের মধ্যে রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরসহ সকল অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল, গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য আইন সংস্কারের সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যাদী সম্পাদনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন, পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধান সংস্থার কমিশন গঠন। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর অধিকতর সংশোধনী, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের কার্যসম্পাদন আদেশ ২০২৪ অধিকতার সংশোধন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন।
অধ্যাদেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে :
বাংলাদেশ ব্যাংক (এমেনমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, স্থানীয় সরকার সিটি (কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ।
লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এ সময়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে, লেজিসলেটিভ (লিগ্যাল) সার্ভিস গঠন, লেজিসলেটিভ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, কেন্দ্রীয়ভাবে আইন এবং আইনগত দলিলের খসড়া প্রণয়ন, লেজিসলেটিভ গবেষণা উইং গঠন, লেজিসলেটিভ সম্পাদনা উইং গঠন, ট্রিটি উইং গঠন।
ন্যায়পাল অফিস প্রতিষ্ঠা :
ন্যায়পাল অফিস প্রতিষ্ঠা হলে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধিসহ দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে। ১ অক্টোবর এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে বলা হয়েছে, ন্যায়পাল অফিস প্রতিষ্ঠা একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।