আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে। তাবলিগ-জামাতের বাংলাদেশের মারকাজ কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করেছেন দিল্লির নিজামুদ্দীনের মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৮টায় মসজিদ বুঝে পাওয়ার পর তারা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম।
আজ সকালে কাকরাইল মসজিদ ছাড়ার কথা থাকলেও গতকাল রাতেই মসজিদ ছেড়ে গেছেন তাবলিগের শূরায়ে নিজামপন্থিদের (মাওলানা জুবায়েরপন্থি) অধিকাংশ। সকালে অল্প কিছু লোক মসজিদে অবস্থান করেছেন। তারা প্রশাসনকে মসজিদ বুঝিয়ে দিয়েছেন। রমনা থানার ডিসি মাসুদ আলমের কাছ থেকে মসজিদের সবকিছু ঠিকঠাক বুঝে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করেছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
মাওলানা সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েমের দাবি, আগের নিয়ম অনুযায়ী আমরা আমল করে যাবো, তবে আমরা আমাদের আমির মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি ও প্রথম দফায় বিশ্ব ইজতেমা করার ১ দফা দাবি নিয়ে জুমার আগ পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদের আশপাশের এলাকায় করছি। জুমার পর আমরা আমাদের অবস্থান থেকে মসজিদে ফিরে আমল করতে শুরু করবো। এদিকে কাকরাইল এলাকায় মাওলানা সাদ অনুসারীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতি’তে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের নেতাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে তাবলিগের শূরায়ে নিজামপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির বিন মুসলিম বলেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে সাদপন্থিদের হাতে কাকরাইল মসজিদ বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম, মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না এবং ইজতেমার প্রথম পর্ব আমাদেরকে করতে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। কাকরাইল মসজিদ বুঝিয়ে দেওয়ার পর এখন কোন দাবিতে বা কেন সাদপন্থিরা কাকরাইল এলাকায় অবস্থান করছে তা আমাদের জানা নেই।