Top Newsজাতীয়

দেশে বেড়াতে এসে নিজের বাসায় খুন হলেন প্রবাসী

মোহনা অনলাইন

ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন এক প্রবাসী, যিনি গত সেপ্টেম্বরে স্ত্রীসহ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক দম্পতি এ কে এম আব্দুর রশিদ ও সুফিয়া রশিদ। কয়েক মাস থেকে ডিসেম্বরে চলে যান। এবারও এসেছিলেন রশিদ দম্পতি। তাদের একজন আজ নেই। ডাকাতের হাতে খুন হয়েছেন আব্দুর রশিদ (৮৫)।

রাতে ধানমন্ডির ৮/১-এর  ২৯৪/১ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) ভোর রাতের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একেএম আব্দুর রশিদ (৮২) নামের ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধানমন্ডি ১৫ এর ২৯৪১ নম্বর পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে ছুরি মারা হয়। পরে বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবার ভোর পৌনে চারটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নিহত আব্দুর রশিদের বুকে, মুখে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ভাড়াটিয়া সাইদুর রহমান বাঁধন বলেন, “তারা (রশিদ দম্পতি) গত সেপ্টেম্বরে দেশে আসেন, রাতে হঠাৎ চিৎকারে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। পরে তাদের রুমে গিয়ে দেখি আব্দুর রশিদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং তার স্ত্রী মাথায় পানি ঢালছেন। “তাকে তখন উদ্ধার করে প্রথমে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।”

হামলাকারীরা ‘ডাকাতি করতে এসেছিল’ এমন ধারণার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ধারণা করছি বাইরে থেকে কোনো লোক বাসায় ঢুকেছিল। আশপাশের লোকজনের চিৎকার শুনে তারা পালিয়ে গেছে।”

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিনজন সন্দেহভাজনকে দেখা গেছে জানিয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভোর রাত তিনটার দিকে জেগে বারান্দার দরজা খোলা রেখেই আব্দুর রশিদ নামাজ পড়ছিলেন। তখনই তিনজন বারন্দার সামনের লন বেয়ে উঠে বাসায় ঢুকে পড়ে। “পরে তিনজনকে আবার পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে তারা বাসায় ঢুকেছিল। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button