শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ই-মেইলে এবং ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি অবগত করে তারা দুজন পত্র পাঠিয়েছেন।
চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে তাঁরা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রমজান আলী ও আবু হোসেনের সঙ্গে মুঠোফেনে যোগাযোগ করলে তাঁরা চাকরি ছাড়ার কথা নিশ্চিত করেন।
গত ৯ অক্টোবর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে তাঁর দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর নিয়োগপত্র দেন।
আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের হেড অব মার্কেটিং সালাউদ্দিন আহমেদ। এই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। ওই সময় শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, বোন সুমী বেগমসহ প্রতিবেশী ও অন্য স্বজনরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আবু সাঈদের ছোট বোন সুমী খাতুনকে চাকরি দেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চাকরি পাওয়ার এক মাসের মাথায় অব্যাহতি নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন জানান, ব্যক্তিগত কারণে তারা দুই ভাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অবগত করতে বসুন্ধরা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল এবং ডাকযোগে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত মাসে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। অফিসে সময় না দিয়ে মাস শেষে বেতন নেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছে নেই। এ কারণে আমরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা বলেন, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।