হঠাৎ অবসরের ঘোষণায় চমকে গিয়েছেন ’টুয়েভলথ ফেইল’ অভিনিত বিক্রান্তের ভক্তরা। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে অভিনয়ের জগৎকে বিদায় জানালেন টুয়েলভথ ফের ফেল খ্যাত এই অভিনেতা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বিক্রান্ত তার অনুরাগীদের একপ্রকার চমকে দিলেন এই ঘোষণা করে। জানিয়ে দিলেন ২০২৫ সালের পর তিনি অভিনয় জগৎ থেকে সরে যেতে চলেছেন। এদিন সেই মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টও করেন অভিনেতা।
বিক্রান্ত অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে লেখেন, “বিগত কিছু বছর দুর্দান্ত সময় কেটেছে। আপনাদের এত সাপোর্টের জন্য আমি আপনাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ এবং ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমি জীবনে এগোতে গিয়ে বুঝেছি এবার নতুন করে শুরু করার পালা এসেছে এবং বাড়ি ফেরারও। স্বামী হিসেবে, বাবা হিসেবে, ছেলে হিসেবে। এবং অবশ্যই একজন অভিনেতা হিসেবে। তাই আগামী ২০২৫ সালে আমাদের একে অন্যের সঙ্গে শেষবার দেখা হবে। আবার যতদিন না সঠিক সময় মনে হচ্ছে। শেষ দুটো ছবি আর অনেক বছরের স্মৃতি। সবাইকে ধন্যবাদ সব কিছুর জন্য। আপনাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”
বলিউডে তাঁর সফর শুরু হয় লুটেরা দিয়ে। রণবীর সিংয়ের সঙ্গে এই ছবিতে বিক্রান্তের অভিনয় সমালোচকদের নজর কাড়ে। ছপাক-এ দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে এবং কঙ্কনা সেনশর্মার আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ-এ তাঁর অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। তবে ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার ছবি টুয়েলভথ ফেল বিক্রান্তের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আইপিএস মনোজ কুমার শর্মার চরিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নেন তিনি।
বলিউডে এমন অনেকেই এসেছেন, যাঁরা রাতারাতি খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু বিক্রান্ত মাসেরে গল্প আলাদা। ধাপে ধাপে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নিলেও, তাঁর কাজ থেকে হয়তো অনুপ্রেরণা পাবে আগামী প্রজন্ম।
২০০৭ সালে ডিজনির জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুম মচাও ধুম-এর মাধ্যমে অভিনয়ের জগতে আসেন বিক্রান্ত। এরপর বালিকা বধূ, ধর্মবীর এবং কবুল হ্যায়-এর মতো সিরিয়াল তাঁকে ঘরোয়া দর্শকদের মনে জায়গা করে দেয়। তখন টেলিভিশনে কাজ করে মাসে ৩৫ লাখ টাকা উপার্জন করতেন বিক্রান্ত। তবে ছোট পর্দায় আটকে থাকেননি তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পা রেখে একের পর এক হিট সিরিজে নজর কাড়েন বিক্রান্ত। মির্জাপুর, ব্রোকেন বাট বিউটিফুল এবং ক্রিমিনাল জাস্টিস-এর মতো সিরিজ তাঁকে নিয়ে যায় এক নতুন উচ্চতায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বিক্রান্ত বর্তমানে দুটো কাজ করছেন। তিনি এখন যে দুটি সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সেগুলো হল “ইয়ার জিগরি” এবং “আখো কী গুস্তাখিয়া”। ফলে তিনি যে তার লেখাতেও সেই দুটো ছবির কথাই উল্লেখ করেছেন সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই।