বিদ্রোহী যোদ্ধারা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ার পর বিমানে করে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে শহরটি ছেড়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি।
তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, “বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা আমার নেই।” এ সময় তিনি নিশ্চিত করেন যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি কাজ চালিয়ে যাবে। আল-জালালি বলেছেন, “আমি সকলকে যৌক্তিকভাবে ভাবার এবং দেশ নিয়ে চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা বিদ্রোহীদের দিকে আমাদের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে তারাও তাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যে, তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবেন না।”
এ সময় দেশের জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বান জানান তিনি। রবিবার ভোরে বিমানে করে পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
হোমস শহর দখলের পর বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করতেই বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমান উড্ডয়ন করে। সম্ভবত বাশার আল-আসাদ ওই বিমানে করেই পালিয়েছেন। বিমানবন্দরে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা বিদায় জানানোর পর সেটি উড্ডয়ন করে।
এরপরই সিরিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করলেন দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস)। স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গোষ্ঠীটি এই ঘোষণা দেয়।
রবিবার সকালে এইচটিএস এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলে, স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং নতুন যুগের সূচনা হলো।”
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘোষণা দেয়, “আসাদ সরকারের অর্ধ শতাব্দীর শাসনামলে বাস্তুচ্যুত বা কারাগারে বন্দি সিরিয়ানরা এখন ঘরে ফিরতে পারবেন।”
“এটি হবে একটি ‘নতুন সিরিয়া’, যেখানে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে এবং ন্যায়বিচারের জয় হবে”, জানায় এইচটিএস।বাশার আল-আসাদের পালানোর খবর শোনার পরই উদযাপন শুরু করেন বিদ্রোহীরা।