‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ারে গত ৪ ডিসেম্বর হায়দ্রাবাদে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। আল্লু অর্জুন এবং রশ্মিকা মন্দানাকে চোখের দেখা দেখার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি করতে শুরু করে দেন সকলে। পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
হায়দ্রাবাদের প্রিমিয়ারে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩২ বছর বয়সী রেবতী নামক একজন মহিলার। ওই মহিলার ১৬ বছর বয়সী ছেলেও গুরুতর যখন হয়। ঘটনাটি ঘটে যখন অভিনেতা থিয়েটারে প্রবেশ করেন, অভিনেতাকে এক ঝলক দেখার জন্যও ভক্তরা সামনে এগিয়ে আসেন এবং তখনই তৈরি হয় সমস্যা। এই ঘটনাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করল হায়দরাবাদে পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের একটি সিনেমা হলের সামনে যে হুড়োহুড়ি এবং পদপিষ্টের ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে সেই কেসের জন্যই গ্রেপ্তার হলেন অভিনেতা। জানা গেছে, এদিন হায়দরাবাদের চিক্কড়পল্লি থানা থেকে জুবিলি হিলসে অবস্থিত আল্লু অর্জুনের বাড়ি যান পুলিশ কর্মীরা। সেখান থেকেই তাঁকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে এই ঘটনায় আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিজের পরিবারের সদস্যরা। দায়ের করা হয় মামলা। এই ঘটনায় অভিনেতার তরফ থেকে পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং আশ্বাস দেওয়া হয়েছে গুরুতর জখম হওয়া ওই ছেলেটির সমস্ত চিকিৎসার খরচের দায়ভার নেবেন অভিনেতা।
শনিবার একটি প্রেস মিটে আল্লু অর্জুন মৃতের পরিবারের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, আমি যে টাকাটি দিচ্ছি তা শুধু আপনাদের পাশে থাকার জন্য। আমি এই ক্ষতিপূরণ কখনওই দিতে পারব না কিন্তু আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টাটুকুও আমি করতে পারি। যিনি গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন, তিনি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করব। যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করব।
মৃতার স্বামী ভাস্কর এই ঘটনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ছেলে শ্রী তেজা আল্লু অর্জুনের ভক্ত। ওর জন্যই আমরা ছবিটা দেখতে এসেছিলাম। সবাই আমাদের ছেলেকে পুষ্পা বলে ডাকে। কিন্তু আমি আমার স্ত্রীর মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছি না।’ ভাস্করের ছেলেকে ঘটনাস্থলেই দেওয়া হয়। তাতে তার জ্ঞান ফেরে। এরপর মা এবং ছেলে দুজনকেই দুর্গাবাই দেশমুখ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এই ঘটনার পরই মৃত্যু হয় রেবতীর। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় কিশোরকে।



