আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ। বিশ্বব্যাপি অভিবাসী ও তাদের পরিবারের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সব জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষার নারী ও পুরুষ অভিবাসীদের অস্তিত্ব, অধিকার, অবদান স্বীকার ও পালনের মধ্য দিয়ে এই দিবসের তাৎপর্য বৃদ্ধি পায়। ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো—অভিবাসীদের অবদান ও অধিকারকে সম্মান করা।
এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রধান অতিথি হিসেবে এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারা দেশে দিবসটি উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশেও সরকার এবং বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করছে। একই সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। এই দুইটি দিবসের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারিভাবে প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে—প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গিকার; বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার।
অভিবাসী অধিকার রক্ষার সংকট ও সমাধান নানা মুখী। সুষ্ঠু, নিরাপদ, সম্মানজনক অভিবাসনের জন্য বছরব্যাপী এবং বছরের পর বছর কর্ম পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে সেসব কর্মকাণ্ডে অভিবাসী অধিকার অর্জনে অগ্রগতি কত দূর, সেটা মিলিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।



