ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এবার ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কাৎজ এই কথা বলেন। সেইসঙ্গে নতুন করে তিনি হুঁশিয়ার বার্তা দিয়েছেন।
ইসরায়েল কাৎজ এক ভাষণে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এ মন্তব্য করেছেন। হুথিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। হানিয়া তখন ইরানের রাজধানীতে একটি ভবনে হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন। হামলাটি ইসরায়েলই করেছিল বলে সেসময় ব্যাপকভাবে ধারণা করা হতো।
কাৎজ তার ভাষণে আরও বলেছেন, ইসরায়েল হুথিদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর আক্রমণ’ করবে এবং এর নেতৃত্বের ‘শিরোচ্ছেদ’ করবে। যেমনটি আমরা হানিয়া, (ইয়াহিয়া) সিনওয়ার এবং (হাসান) নাসরাল্লাহকে করেছিলাম তেহরান, গাজা ও লেবাননে। সেটিই আমরা করব হোডেইডা এবং সানায়, “চলতি বছর নিহত হিজবুল্লাহ ও হামাস নেতাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধানের পদে থাকলেও তাকেই এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মনে করা হতো। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
তার হত্যাকাণ্ডের পর হামাস ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করে। তিনি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার অন্যতম রূপকার। গত অক্টোবরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে তিনিও নিহত হন। এরপর থেকে হামাস এখনো নতুন নেতা বেছে নেয়ার প্রক্রিয়ায় আছে।
অন্যদিকে, হাসান নাসরাল্লাহ ছিলেন লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর নেতা। সেপ্টেম্বরে বৈরুতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে তিনি নিহত হন। ইসরায়েলের সাথে সীমান্তে প্রতিনিয়তই লড়াই করছিল হিজবুল্লাহ। লেবাননের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করেছিল। তারা গাজা যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।