
চাঁদপুরের মেঘনায় সার বোঝাই কার্গো জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে ঢাকার দোহার এলাকার মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার র্যাব-১১ এর পাঠানো এক খুদে বার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাহাজে হামলার শিকার আটজনের সঙ্গে ছিলেন ইরফান। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মামলার বাদী মাহবুব মোর্শেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার জেটি থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে ইউরিয়া সার নিয়ে মোট ৯ জন রওয়ানা হন। সোমবার বিকেলে জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে জাহাজের মাস্টার মো. সালাহউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন স্টাফকে মুঠোফোনে কল দিয়েও সাড়া পাননি তিনি। এ সময় তার মালিকানাধীন অপর জাহাজ এমভি মুগনি একই পথ পাড়ি দিচ্ছিল। এর মাস্টার বাচ্চু মিয়াকে খোঁজ রাখতে মুঠোফোনে জানান।
একপর্যায়ে ওই জাহাজের কাছে পৌঁছে বাচ্চু মিয়া তাতে উঠে দেখতে পান এমভি আল বাখেরার প্রায় সব স্টাফ মৃত ও অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। বিষয়টি মাহবুব মোর্শেদকে জানানো হলে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন।
একপর্যায়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রিজার ও সুকানি রুমে ৩ জনকে মৃত, ব্রিজ রুমে ৩ জনকে রক্তাক্ত এবং ড্রাইভার ও মাস্টার রুমে আরও ২ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রক্তাক্ত যে ৩ জন ছিল। তারমধ্যে এখন কেবল জুয়েল নামে একজন বেঁচে আছেন। যাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথা, গলা ও মুখমণ্ডল রক্তাক্ত জখম ছিল। তবে ৮ জনের এমন করুণ পরিণতি হলেও ইরফান রহস্যজনক কারণে নিখোঁজ ছিলেন।
মামলা সম্পর্কে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা এই মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে।