উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আনতে যাচ্ছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। ‘জনপ্রশাসন সংস্কারকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে।
বিএএসএ’র মহাসচিব মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাকির হোসেন কামাল, নবম ব্যাচের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, নুরুল করিম ভূঁইয়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব সামিউল মাসুদ, ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনে কর্মরত ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, ২৯ ব্যাচের কর্মকর্তা সাইফুল কবির, বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা। অনলাইনে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা প্রতিবাদ সভায় যুক্ত ছিলেন। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ জোরালো বক্তব্য দেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আলোচনা করে নেওয়া হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। যারা ক্রিকেট খেলেন তারা ফুটবল মাঠে কীসের দক্ষতা প্রমাণ করবেন। আমরা ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সম্মানটা দিতে চাই। যার যার সম্মান আমরা জানাতে চাই। দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিএম জাহাঙ্গীরও বক্তব্য দেন।