সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় অগ্নিকাণ্ড জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু, কেপিআই স্থাপনা সচিবালয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা।
সচিবালয়ের এই ভবনে রয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর। আরও আছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সরকারের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। আগুন লাগার ছয় ঘণ্টার পর সকাল আটটায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল।
এই অগ্নিকাণ্ড কি দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, সেই বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে চাননি। ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও তাৎক্ষণিকভাবে মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, আগুন নেভানোর পর তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে আগুন কীভাবে লেগেছে। এই আগুন দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটি বলতে পারছেন না কেউ। আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়ে সড়কে ট্রাকের চাপায় মারা গেছেন ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী। ওই ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে সকাল সাতটায় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ফায়ার সিার্ভিসের কর্মীরা বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে।
রাত ২টা আগুন লাগার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে যায় সচিবালয়ে। তাদের সহায়তা করতে যোগ দেয় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।
১০ ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তার আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর দিয়েছিল এই বাহিনী।



