নতুন বছরের নতুন সূর্য উপভোগ করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। রয়েছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সৈকতে পর্যটকদের আগমন ঘটতে থাকে।
বুধবার ভোরে নতুন সূর্যোদয় দেখতে সৈকতের চর গঙ্গামতি, গঙ্গামতি, ঝাউবন ও জিরো পয়েন্টে জড়ো হন পর্যটকরা। তবে ঘন মেঘ ও ঘুন কুয়াশার কারণে সূর্যোদয় উপভোগ করতে না পারলেও সৈকতের তীরে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা।
সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট পর্যটকবাহী ট্রলার ও ডিঙি নৌকা। গোধূলি লগ্নে পুব আকাশকে পেছনে ফেলে সবাই ছুটছে পশ্চিম আকাশ পানে। সৈকতে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে দেখছেন বছরের শেষ সূর্য, সিঁদুর রংয়ে রাঙিয়ে একটু একটু করে লাল হয়ে ডুবে যাচ্ছে। এমন স্মৃতি ধরে রাখছে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ পর্যটকরা। তবে সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব ভুলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় প্রভাতে নতুন সূর্য দেখার প্রতীক্ষায় তারা।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে কুয়াকাটায়। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেলে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে পুলিশ।