বিনোদন

বডি শেমিং নিয়ে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েছিলেন দীঘি!

মোহনা অনলাইন

শোবিজ অঙ্গনের  জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মডেল  প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়েও তুমুল আগ্রহ থাকে ভক্তদের। দীঘিকে নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই ভক্তদের মনে।শোবিজ অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার ভাগ নিতে হয়েছে দীঘিকেও।

দীঘি একসময় প্রচুর বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। অসুস্থতার কারণে ওজন বৃদ্ধি ও শারীরিক স্থূলতা নিয়ে সমালোচকদের নানান মন্তব্য তাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছিল। তবে দিঘী হাল ছাড়েননি। নিজের ফিটনেস ফেরাতে তিনি কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন এবং লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই খারাপ সময়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন দিঘী।

বডি শেমিংয়ের শিকার যে কেউ অনেক ট্রমাটাইজড-ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে পড়তে পারেন; অথচ মানুষ সেগুলো না ভেবেই বডি শেমিং করে ফেলেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।

দীঘির কথায়, ‘যে মানুষটার বডি শেমিং আরেকটা মানুষ করছে, আদৌ সেই মানুষটি বডি শেমিং নিয়ে কতটা সিরিয়াস, কিংবা সে কীভাবে এটিকে গ্রহণ করছে, তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা না চিন্তা করেই তো বলে ফেলি আসলে। হতে পারে সে অনেক ট্রমাটাইজড এটা নিয়ে, সে অনেক ফ্রাস্ট্রেটেড বডি শেমিংটা নিয়ে।’

বডি শেমিং নিয়ে একটা সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জানিয়ে দীঘি বলেন, ‘একটা সময় ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এত এত শুনতাম, এতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতো।একটা সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন ডায়েট হচ্ছে না, জিমও হচ্ছে না; আবার মোটা হয়ে গেলাম। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতেই হবে, তখন আবার হলো কোভিড।’

দীঘি আরও বলেন, ‘সুস্থ হতে আমাকে অসম্ভব হাই পাওয়ারের ওষুধ দেওয়া হলো, যেটাতে স্টেরয়েড থাকে। ওটা শরীরে যাওয়াতে এতটা লেভেলে ফুলে গেলাম, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল কি একটা হয়ে গেছি আমি।আমার বডি অনেক ভারি হয়ে গেল এবং দুর্বল হয়ে গেলাম। আমি যে একটু না খেয়ে থাকব এটা আমার পক্ষে সম্ভবই হয়ে উঠছিল না, তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের জন্য যেটা হয়, কিছুতেই শুকানো যায় না। একটা বছরের মতো ভুগতে হয়েছে, প্রচুর কষ্ট হয়েছে শুকাতে।তখনই মনে হয়েছে আমি মনে হয় আর পারব না।’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button