Top Newsজাতীয়

পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

মোহনা অনলাইন

মাঘ আসার আগেই বাঘ কাঁপানো শীতের দাপট দেখাচ্ছে পৌষের শেষ সপ্তাহ।তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তর-পশ্চিম হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা কনকনে বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার রেকর্ড দেখা যায়।

হালকা কুয়াশা ছড়ানো প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে প্রকট কনকনে শীতের তীব্রতা। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার গতিতে বইছে বাতাস। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোরে সূর্য দেখা গেলেও হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপতে হচ্ছে। কাজে সমস্যা হচ্ছে, বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে। মানুষের পাশাপাশি তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীরাও। শীতের থেকে রক্ষা করতে গরু-ছাগলকে পরানো হচ্ছে পুরোনো কাপড় কিংবা চটের ব্যাগ।

প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে বিছানা থেকে সব আসবাবপত্র বরফ হয়ে ওঠে। ঘরের ফ্লোর খালি পায়ে পা দেওয়া যায় না। ঘরে রাখা পানি বরফ হয়ে থাকে। পানি ধরলে হাত যেন অবশ হয়ে যায়। আর আজ দিনভর সূর্য দেখা যায়নি। ঠান্ডা বাতাসে কাবু করে তুলেছে আমাদের। সন্ধ্যার পর বাড়ির উঠানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button