গত বছর টালিউডে ভূতপরী সিনেমাজুড়ে কৌতুহল। ভূতপরীর পর এবার ডাইনি চরিত্রে অভিনয় করলেন জয়া। নুহাশ হুমায়ূনের ‘২ষ’ সিরিজের ‘বেসুরা’ পর্বে ডাইনিরূপে দেখা দিলেন তিনি।
উঁচু-নিচু পথ, টিলা, তার মধ্যে আবার ঝরনা, জলাধার; সবুজে ঘেরা পরিবেশ। অদ্ভুত সৌন্দর্যের মধ্যে বসবাস কিছু মানুষের। তাঁরাও প্রকৃতির মতোই সুন্দর। সবার কণ্ঠেই সুর। ছন্দময় তাঁদের কথা। হঠাৎ সেই লোকালয়ে পাওয়া যায় একটি ছোট মেয়েকে, যার কণ্ঠে সুর নেই।
‘বেসুরা’ পর্বে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। দেখা গেছে, ছোট্ট একটি মেয়ে সুর সাধনা করছে, কিন্তু সেই সুর বেসুরো হওয়ায় একটি কণ্ঠ ভেসে আসে, যেখানে বলা হয়, সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে; এর মধ্যে যদি সুর না আসে, তাহলে মেয়েটিকে বাকি জীবন কাটাতে হবে কসাই ঘরে।
সুরের সাধনা করা ছোট মেয়েটি জানতে পারে, সুরের সন্ধান পেতে হলে তাকে যেতে হবে ডাইনির কাছে। পরে ডাইনির কাছে গিয়েই অভিশাপ কাটে এবং গলায় সুর আসে। গল্পের সেই ডাইনি চরিত্রেই হাজির হয়েছেন জয়া।
চরকির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গল্প শুনেই ছোট চরিত্রটি করতে রাজি হন জয়া আহসান। তিনি বলেন, “দর্শকরা সবাই কম-বেশি জানেন আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, ভিন্ন রকম চরিত্র করতে পছন্দ করি। গল্পটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মেকআপের গুণে ডাইনি চরিত্রে তাঁকে বোঝাই ছিল কষ্টসাধ্য। গল্পের প্রয়োজনে শেষ ভাগে নিজের রূপে ধরা দেন অভিনেত্রী। চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘২ষ’-এর শেষ পর্ব ‘বেসুরা’ প্রকাশ পেয়ে গেছে। সিরিজে ভয়ের নতুন এক ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। তাই তো পরিচিত ভূতের গল্প না বলে সাইকোলজিক্যাল হরর গল্প বলেছেন তিনি। মা গুলতেকিন খানের সঙ্গে গল্পগুলো লিখেছেন নুহাশ।
বেসুরার গল্প ও সংলাপ নিয়ে জয়া আহসানের মুগ্ধতা রয়েছে। জয়ার ভাষ্যমতে, ‘আমরা যে অভিনয় বা শিল্পচর্চা করি এবং একজন শিল্পী যে শিল্পচর্চা করেন, তার মূল জায়গাটা কী, সেটা ডাইনি বেশে আমার দেওয়া সংলাপগুলোতে নিহিত রয়েছে।’
জয়ার পাশাপাশি বেসুরা দিয়ে ওটিটিতে প্রথমবার কাজ করেছেন সুমাইয়া শিমু ও ইসলাম উদ্দিন পালাকার। এ ছাড়া আরও রয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু, বাবলু বোস, মাসউদুর রহমান প্রমুখ।