বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংকট আরও বাড়বে
অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বেশি সংকটে পড়ছে। এসব কারণে চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
সংকট কাটাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এর মধ্যে আছে, রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার করে আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য এনে আয় বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সঠিক খাতে কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া। কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করলে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণ পরিশোধের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারি পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। সেই জটিল পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো বেরুতে পারেনি। যদিও বাংলাদেশ এসব সংকট মোকাবিলা করে সামনে এগোচ্ছে। কিন্তু সংকটের প্রভাবে জনজীবনে যেসব আঘাত লেগেছে সেগুলোর উপশম এখনো হচ্ছে না। এজন্য সরকারকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে, রাজস্ব আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর পথ সুগম করতে হবে।
প্রতিবেদনে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে থাকায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমার কারণেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।