বড় ছেলে নিষাদ হুমায়ূনকে নিয়ে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিউ মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে শনিবার বিকেলে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন শাওন।
‘ঘটনা খুবই সরল ও অনাড়ম্বরপূর্ণ’, এমন একটি শিরোনাম দিয়ে দুর্ঘটনার বর্ণনায় শাওন লিখেছেন, ‘বড় ব্যাটা নিষাদ হুমায়ূনকে নিয়ে গিয়েছিলাম নিউমার্কেট, তার বাবার (কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ) প্রিয় বাজারে। সুন্দরভাবে কাজ শেষ করে গাড়ির কাছে ফিরছিলাম। রাস্তা একদম ফাঁকা। ডান–বাম ভালো করে দেখে যেই না রাস্তা পার হওয়া ধরেছি, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে এল “বাংলার টেসলা”খ্যাত এক ইঞ্জিনচালিত রিকশা! কোনোরকম বেলের টুংটাং না করে “আআআপুউউউ… সরেএএএন!” বলে ডাক দেওয়া আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩ যাত্রীসহ চালক মহাশয় এক সজোর ধাক্কা দিলেন! প্রবল বেগের সেই ধাক্কায় আমি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে রাস্তায় পড়ে গেলাম আর “বাংলার টেসলা”র পেছনের চাকা আমার বাম পা–এর ওপর দিয়ে চলে গেল।’
দুর্ঘটনার পর ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশার চালক পালিয়ে যাননি জানিয়ে শাওন লিখেছেন, ‘চালককে ধন্যবাদ, তিনি পালিয়ে না গিয়ে নিজের দোষ কিছুটা স্বীকার করেছেন। আশপাশ থেকে ছুটে আসা মানুষদের ধন্যবাদ, নানা জ্ঞান দিয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টার জন্য। কৃতজ্ঞতা সেই চা–দোকানদারের প্রতি, যিনি নিজ দোকানের ফিল্টার পানির জার পুরোটা ঢেলে আমার পায়ে তাৎক্ষণিক আরাম দিয়েছেন।’
অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সঙ্গে থাকা অর্পিতাকে। তিনি লিখেছেন, ‘অর্পিতা, তুই সঙ্গে না থাকলে কীভাবে যে ওই সময়টুকু সামলাতাম, জানি না। চোখের সামনে থেকে অন্ধকার সরার পর দেখলাম, নিজের পুরো শরীরের ভার তোর ওপর ছেড়ে আমি ঢলে পড়েছি, আর তুই ঠান্ডা মাথায় আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেছিস, পাশাপাশি ঘটনার আকস্মিকতায় নার্ভাস হয়ে পড়া নিষাদকে সামাল দিচ্ছিস! শুধু মুখে মুখে ‘শাওন মা’ না, তুই আমার শক্তপোক্ত মেয়ের দায়িত্বই পালন করে দেখালি। আমি তোকে নিয়ে গর্বিত।’
নিজের শরীরের বর্তমান আপডেট জানিয়ে শাওন বলেছেন, পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ায় পা ভাঙেনি। তবে পেশী ও কোমল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ণ বিশ্রাম আর ওষুধে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেরে যাবে।



