প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা আইন, বিধি-বিধানের মধ্যে থাকব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কাছ থেকে ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ব্যাগ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নির্বাচন ভবনে। বিএনপি বলছে এই বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্তব্য জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা আইন-কানুন, বিধিবিধানের মধ্যে থাকব। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
সরকার ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একদম মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত যে টাইমফ্রেম, ওটাকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৬৫ হাজার লোক কাজ করবে। ইউএনডিপি আমাদের এই লজেস্টিক সাপোর্টটা দিচ্ছে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আমরা ইউএনডিপির সাহায্য চাইব এবং আমরা আশা করব তারা আমাদের সাপোর্ট দিয়ে যাবেন’।
ভবিষ্যতে সহযোগিতা নেবেন বলছেন, সেটা কি ধরনের হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে গেলে কত রকমের জিনিস লাগে, নিড অ্যাসেসমেন্ট করে তারপর বলা যাবে।’ সোমবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হচ্ছে, ভোটার তালিকা নিয়ে যে সন্দেহ আছে সেটি দূর হবে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা সন্দেহ দূর করার জন্যই তো এই কাজ করতেছি। লোকজনকে মাঠে নামাচ্ছি। আমরা আশাবাদী সব ধরনের সন্দেহ দূর হবে।’
সময়সীমার মধ্যে সব ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরো তথ্য সংগ্রহ করা কি সম্ভব হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘আমরা ছয় মাসের জন্য পরিকল্পনা করেছি। এই ছয় মাসের মধ্যে আমাদের টার্গেট পূরণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকবে।’ মানুষ যাতে এই কাজে সহযোগিতা করে সে জন্য সিইসি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সহায়তার জন্য তাদের নিড এসেসমেন্ট টিম এসেছে। তারা যে একটা সহায়তা দেবে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু লাগে। ভোটার তালিকা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য হালনাগাদ কার্যক্রম করতে কাল মাঠে নামছি। আশাকরছি সন্দেহ দূর হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছয়মাসের মধ্যে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করবো। ভোটার প্রবৃদ্ধির হার ১.৫৫ শতাংশ। ৬৫ হাজার লোকবল কাজ করবে। হিউজ প্রোগ্রাম নিয়েছি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের শেষ করতে পারি।



