মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চাইলে জনপ্রিয সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক কিনতে পারেন টেসলা প্রধান ও তার ‘ফার্স্ট ফ্রেন্ড’ ইলন মাস্ক এবং ওরাকল প্রধান ল্যারি এলিসন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত এপ্রিলে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রি বা নিষিদ্ধের বিষয়ে এক বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটক নিষিদ্ধ করার এ আইনের পক্ষে গত সপ্তাহে রায় দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম চীনা মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের অধীনে থাকলে চীন সরকার আমেরিকানদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও অপব্যবহার করতে পারে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন এ আইন তৈরি করেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক নির্বাহী আদেশে সই করে জনপ্রিয় সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ৭৫ দিন পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, “আমি টিকটকের মালিকদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাই আমি যা বলার কথা ভাবছি তা হচ্ছে, প্লাটফর্মটি কিনুন এবং এর অর্ধেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দিন।”
মাস্ক টিকটিক কিনবেন কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, “মাস্ক প্লাটফর্মটি কিনতে চাইলে আমি সেই পথ খুলে দেবো।”
মার্কিন কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকল প্রধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি চাই ল্যারিও এটি কিনুক।”
টিকটকের ওপর ৭৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরও যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের পরিষেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি বিশেষ করে অ্যাপল ও গুগল সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। অ্যাপ স্টোর বা প্লে স্টোরে অন্য কোনও বাইটড্যান্স-অনুমোদিত অ্যাপ অফার করছে না এসব কোম্পানি।
সোমবার ট্রাম্প এক যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, তিনি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’ ও এর চীনা মালিক বাইটড্যান্সের মধ্যে ৫০-৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব চাইছেন। তিনি এও দেখতে পাচ্ছেন, মার্কিন সরকার টিকটকের ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে। ফলে টিকটকের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প আরও বলেন যে ‘প্রত্যেক ধনী ব্যক্তিই’ তাকে প্ল্যাটফর্মটি অধিগ্রহণের জন্য ফোন করেছেন। বেইজিং টিকটক বিক্রির অনুমতি দিতে অস্বীকার করলে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে, বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বিক্রির পরিকল্পনা করছে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা কর্মকর্তারা মাস্কের কাছে টিকটক বিক্রির বিকল্পটি বিবেচনা করেছেন।