অসাস্থ্যকর নগরী ঢাকা। প্রতিদিনের তালিকাতেই বায়ূ দূষণে ঢাকা থাকছে ১-৪ এর মধ্যে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে ঢাকার মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিশুরা।
শিশুদের ফুসফুস আর এই দূষণ নিতে পারছে না। তারা নানা রকম জটিল ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছে। পেটের পীড়াও এর বাইরে নয়। করোনা চলে গেলেও দূষিত ধূলিকণা খেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শিশুদের এখনও চলতে হচ্ছে মাস্ক পড়ে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিলেও প্রতিনিয়তই নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে বায়ুদূষণে। আর তাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানসহ বাইরে না যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর উপরে। গতবছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারণ মানুষ।
পরিবেশ অধিদফতর জানিয়েছে, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
