আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার এবং দলের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দাবিটি তোলেন।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেন, ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।’
‘অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া ‘ যোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।
হাসনাত দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে চিহ্নিত করে, দেশের সর্বত্র তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা হোক, অন্যথায় শহীদের আত্মদান এবং সহযোদ্ধাদের রক্তের মূল্য পাওয়া যাবে না।’