
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় আলোচনা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে ভারতের রাজ্যসভায় কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।
তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে তাতে ভারত সরকার সাড়া দেয়নি। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজ্যসভায় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে এক আইনপ্রণেতার প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
লিখিত প্রশ্নে রাজ্যসভার সদস্য জন বৃত্তাস জানতে চান, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে কি না; চেয়ে থাকলে তারা কারণ হিসেবে কী বলেছে এবং ভারত সরকার তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে কি না।
জবাবে কৃতী বর্ধন বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা বিভিন্ন ‘অপরাধ’ করেছেন। তবে এ বিষয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাসহ দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
এরপর, গত ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির কাছে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠায় ঢাকা।
গত মাসের শুরুর দিকে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার পাঠানো চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশ এখনও নয়াদিল্লি থেকে কোনো জবাব পায়নি।
এরপর, গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।