সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় ১৩ বছর পেরিয়ে গেছে, তবু সাংবাদিক দম্পতির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এখনও পায়নি পরিবার। হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়েছে ১১৫ বার। চার বার বদল হয়েছে তদন্ত সংস্থাও। সবশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয়েছে উচ্চ ক্ষমতার টাস্কফোর্স।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি সাংবাদিক দম্পতি খুন হয়েছিলেন ঢাকায় তাদের পূর্ব রাজাবাজারের বাসায়। তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন—তাদের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘ। হত্যার পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগর-রুনির হত্যাকারীরা আইনের আওতায় আসবে।’
এর কয়েকদিন পর সে সময়ের পুলিশ প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার মামলার তদন্তে অগ্রগতির কথা বলেন। হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তের কয়েকদিন পরই তেজগাঁ থানা পুলিশ থেকে ডিবিতে চলে যায়। আর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল ডিবির তখনকার উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম হাইকোর্টে হাজির হয়ে এক মাসের মাথায় তদন্তে ব্যর্থতা স্বীকার করে তদন্তের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। আর ওইদিনই আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। র্যাব এক যুগ ধরে এই মামলার শুধু তদন্তই করছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গেল নভেম্বরে পিবিআইপ্রধানের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্কফোর্স। বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় মামলাটির অনেক আলামত খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।



