Top Newsরাজনীতি

২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা বিএনপির

মোহনা অনলাইন

দীর্ঘ সাত বছর পর বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের এই বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে।

আজ রোববার বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বর্ধিত সভার তারিখ ঘোষণা করে বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের টিকেট পাননি অর্থাৎ প্রার্থী নন কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকোন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তারাও বর্ধিত সভায় থাকবেন।

এছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়।

বিএনপি ছাড়া ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন সেখানে।

এ বর্ধিত সভার স্থান ঠিক হলে পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান, রিজভী।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এ বর্ধিত সভা হবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন,‘ দলের নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে এক সাথে এক জায়গায় বসে এই সভাটা করার প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণে এবং একটি মহাআন্দোলন শেষে আমরা এই বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছি।’

বর্ধিত সভা উপলক্ষ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি এবং ছয়টি উপকমিটি (ব্যবস্থাপনা, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, শৃঙ্খলা, মিডিয়া ও চিকিৎসা সেবা কমিটি) গঠন করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প কি না জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প নয়। বর্ধিত সভা সবসময় হয়ে থাকে, ইতিপূর্বেও হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি কেন এই বর্ধিত সভাটি। যেকোন আন্দোলনের শেষে, নির্বাচনের শেষে অথবা প্রারম্ভে একটা মতামত জানার জন্য, বর্তমান তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা কী ভাবছেন, তৃণমূলের ভাবনা চিন্তাগুলো জাতীয় নেতৃবৃন্দ শুনবেন, অবহিত হবেন, এই কারণে বরাবরই বর্ধিত সভা হয়ে থাকে। সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে এই বর্ধিত সভা হতে যাচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর তিনদিন পরে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান।

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সৈয়দ শাহিন শওকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button