
তিস্তার পানি বণ্টন ও তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ইতোমধ্যে তিস্তা পাড়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার মানুষ।
তিস্তাপাড়ের জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ কর্মসূচির জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রধান যে দাবিটি তিস্তা মেগা প্রকল্প আমরা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন চাই।
আরেক অংশগ্রহণকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন পানি ছেড়ে দেয় ভারত আর যখন পানির প্রয়োজন তখনি পানি বন্ধ করে রাখে আমরা এটা চাইনা। আমরা চাই পানি সঠিকভাবে বণ্টন করা হোক এবং তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই।
তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজের পূর্ব পশ্চিম দুই দিকে দুইটি পয়েন্ট করা হয়েছে পূর্ব দিকে অবস্থান করছেন নীলফামারী জেলা বিএনপি সহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকলে। পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামের উপজেলার বিএনপির পাশাপাশি তিস্তা পারের সাধারণ মানুষ।
এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, এই পদক্ষেপ তিস্তা নদীর বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
এদিকে আন্দোলনের আগে আকস্মিকভাবে উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে গেছে। যেখানে শনিবার সকালেও ধূ-ধূ বালুচর দেখা যাচ্ছিল, সেখানে বিকাল থেকে বইছে পানি।
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “তিস্তায় কিছুটা পানি বেড়েছে, তবে এতে কোনো বড় ক্ষতি হবে না। ব্যারাজের জলকপাট বন্ধ রাখা হয়েছে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য।”