
রমজানে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে এসির ব্যবহার ২৫ ডিগ্রি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ডিসিদের সঙ্গে সড়ক মেরামত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও রেলের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেছি— আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা। আমরা একটা খাদের মধ্যে অর্থনীতিকে পেয়েছি। ২০২১ সালে রিজার্ভ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার। এসে পেয়েছি ২০ বিলিয়ন, বাকি সব অর্থ পাচার হয়ে গেছে।
রমজান মাসে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে বিদ্যুৎ অনেক খাতে অপচয় হয়, তা রোধ করার চেষ্টা চলছে। সেচের জন্য ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অতিরিক্ত লাগে। এছাড়াও রমজান মাসে মসজিদে তারাবির নামাজের পর ফ্যান লাইট বন্ধ করে না। সে বিষয়ে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে জানানো হবে।
সচিবালয় থেকেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, বাড়ি ঘরে অযথা ফ্যান লাইট জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করা যাবে না। রমজান মাসে যেন বিদ্যুৎ অপচয় না হয়, সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করবে। যারা নিয়ম মানবে না আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরও বলেন, আসছে গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ এর কারণে যাতে সেচের সমস্যা না হয় তা তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেচ কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাড়াতে চায় সরকার। শুধু সেচেই ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এটার ঘাটতি যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে ডিসিদের।