সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্যের (এমপি) আমদানি করা ২৪টিসহ মোট ৪৪ গাড়ি নিলামে উঠেছে। এমপিদের গাড়িগুলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের।
বিলাসবহুল এসব গাড়ির বেশির ভাগেরই দাম শো-রুমে ৮ কোটি টাকার বেশি।তবে নিলামে মাত্র একটি গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে তিন কোটি ১০ লাখ টাকা। সাবেক এমপিদের আমদানি করা ৯টি ল্যান্ড ক্রুজারের দামই হাঁকাননি কোনো ক্রেতা। তাদের আনা ২৪ গাড়ির মধ্যে ১৫টিতে আগ্রহী ক্রেতা থাকলেও তারা সংরক্ষিত দামের অর্ধেকেরও কম দর দিয়েছেন
গতকাল( ১৭ ফেব্রুযারি ) টেন্ডার বাক্স উন্মুক্ত করে এ ঘটনায় হতবাক হন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রত্যাশিত দামের চেয়ে অনেক কম দর পাওয়ায় গাড়িগুলো আবার নিলামে তোলা হতে পারে। এসব গাড়ির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সিদ্ধান্ত চাওয়া হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও (এনবিআর)।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে এই গাড়িগুলো ফেলে যান সাবেক সংসদ সদস্যরা। সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টিসহ এ দফার প্রথম নিলামে মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এই নিলাম করে।
তবে সংসদ সদস্যদের গাড়ি কেনার জন্য হুড়োহুড়ি না থাকলেও নিলামে তোলা অন্য গাড়িগুলো কেনায় প্রতিযোগিতা ছিল বেশি। কোনো কোনো গাড়ি কেনার জন্য ২০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দর দিয়েছে।



