আইনে যা আছে, নীতিমালায় যা আছে, সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেওয়া ছাড়া জেলা প্রশাসকদের আর কোনো কাজই নেই বলে মন্তব্য করেছেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন মন্ত্রণালয়– সম্পর্কিত অধিবেশনে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে আমরা যদি ইতিবাচকভাবে তাদের কাজে লাগাই জনগণকে সেবা করার জন্য, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসেবা প্রদান করার জন্য এবং ওই ক্যাপাবিলিটি তাদের আছে। কিন্তু রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাটা থাকে না।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আশা করব ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক প্রশাসন ক্যাডারের যে অসীম সম্ভাবনাময় শক্তি এটিকে যেন জনগণের নিপীড়নের জন্য ব্যবহার করার কাজে না লাগিয়ে আমাদের সংবিধানে যেভাবে বলা আছে জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগানো হয়।’
জনগণকে সেবা দিতে কী ফর্মুলা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনে যা আছে নীতিমালায় যা আছে সংবিধানে যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ দেওয়া ছাড়া ওনাদের (ডিসি) আর কোনো কাজই নাই। কাজেই আমাদের শুধু একটা কথাই বলতে হয় আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, বিবেক মতো চলেন।’
প্রশাসনের সবচেয়ে মেধাবী কর্মকর্তারা ডিসি হন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু রাষ্ট্রের এত বড় একটি রিসোর্সকে গত ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে অত্যাচারের নিপীড়ন করার জন্য, তাদের অপকর্ম জায়েজ করার জন্য ব্যবহার করেছে। সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে এটা যদি আমরা পজিটিভভাবে কাজে লাগাই, জনগণের সেবার জন্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য, ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সেবা দেওয়ার জন্য- সেই ক্যাপাবিলিটি তাদের আছে। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব ভবিষ্যতে যেই দল এই বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসুক প্রশাসন ক্যাডারের আমাদের যে অসীম সম্ভাবনার শক্তি রয়েছে, এটাকে যেন জনগণকে নিপীড়নের কাজে না লাগিয়ে আমাদের সংবিধানে যেভাবে বলা আছে জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগাই। এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।’
সারাদেশে অনেক টিটিসি (কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) তৈরি হয়ে আছে কিন্তু সেগুলো থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পাওয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, শুধু টিটিসি না, বাংলাদেশের শুধু বিল্ডিং আছে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে সেবা নাই, এটা আমার গত ছয় মাসের অভিজ্ঞতা। আমরা প্রাণান্তকর চেষ্টা করছি, ভালো কিছু করার জন্য।’



