অপরাধঢাকা

ছাত্রলীগ সিন্ডিকেটের দখলে গুলশান-বনানীর স্পা ও বারের নিয়ন্ত্রণ!

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান বনানী ডিপ্লোমেটিক জোনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্পা, বার বা লাউঞ্জ এর মত প্রতিষ্ঠান। গুটিকয়েক স্পা বা পার্লার সরকারের নিয়মনীতি মেনে চললেও তার উল্টো চিত্রই দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক, যুবতীদের দিয়ে স্পা করানোর অভিযোগও উঠেছে।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশন থেকে শুধু রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স নিয়ে গুলশান বনানীতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সীসা লাউঞ্জ। যেখানে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী রমণীদের মেলায় পরিণত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্স অনুযায়ী রেস্টুরেন্টের ব্যবসা পরিচালিত হলেও রাত বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে চলছে সিসা, মাদক ও নারীর ব্যবসা। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনৈতিক!

সূত্র বলছে, গুলশান বনানীর এই অন্ধকার জগত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী! ফ্যাসিবাদি সরকারের সময় থেকে ছাত্রলীগের পরিচয়ে আধিপত্য বজায় রেখেছেন এসব সিন্ডিকেট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুলশান শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এনায়েত গুলশান দুইয়ে একটি স্পার মালিক! যা পরিচালনা করছেন একজন তরুণী। সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের মধ্যে এনায়েত এবং মোহন অন্যতম। এদের সহযোগী বিজয় পাল, আলাউদ্দিন শাওন সহ অনেকে রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে এনায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

জানা যায়, ফ্যাসিবাদি সরকারের সময় থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা নামে প্রত্যেকটি স্পা, লাউন্স এবং বার থেকে মাসোয়ারা বা চাঁদা নিয়ে থাকেন! বিনিময়ে এই অন্ধকার জগত যেন নির্ভয়ে গুলশান বনানীতে দাপটের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে তার গ্যারান্টিও দিয়ে থাকেন!

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন সঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর যে সমস্ত স্পা, বার বা লাউঞ্জ সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াআক্কা না করে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যদি কোন স্পা,বার বা লাউঞ্জের ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাই সে ক্ষেত্রেও আমরা খুব দ্রুততম সময়ে অভিযান পরিচালনা করে থাকি।”

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গুলশান-বনানী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “আমরা এ সমস্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিয়েছি। আরও যেগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ আছে আমরা সেগুলো সিলগালা করে দেব।”

তবে এই বিষয়ে অভিযোগ কারীদের নাম্বারে একাধীকবার ফোন করলে ও তারা ফোন রিসিভ করেনি। এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button