
ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় এই অভিনেত্রী। বিভিন্ন সময়ে নিজের ও পরিবারেরসহ চারপাশের নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বলেন তিনি। নিজের আবেগ-অনুভূতি ভালোলাগার বিষয়গুলো ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন নায়িকা। কখনো কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায় নায়িকাকে।
তেমনি রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন পরীমণি। সেখানে স্পষ্টই তিনি প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজের ওপর নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন তার ঘৃণায় বেঁচে থাকবে রাজ।
ফেসবুকে পরী লিখেছেন, রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতো।
তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না, জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধু, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না?
কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।
একবার ভাব তো— দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে…। পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নেই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা।
,ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেওয়ার মতো তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর।
আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো বেঁচেই যেতে। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও নায়ক শরিফুল রাজ। বছর গড়াতেই তাদের সংসার আলো করে আসে প্রথম পুত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ পুণ্য। সন্তান জন্মলাভের এক বছর পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটে রাজ-পরী দম্পতি। সংসার ভাঙনের পর সন্তানকে নিজের কাছেই রেখে দেন পরীমণি। ছেলের সকল দেখভালের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে রাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।