‘যদি শান্তি আনতে আমার পদ ছেড়ে দিতে হয়, আমি প্রস্তুত। আমি আমার প্রেসিডেন্ট পদকে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য বিনিময় করতে পারি, যদি এমন শর্ত থাকে’। যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার পদত্যাগ করার প্রয়োজন হয়, তবে তিনি তা করতেও প্রস্তুত।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক আইন চলাকালীন দেশটিতে নির্বাচন স্থগিত থাকে। রাশিয়ার আক্রমণের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করা হয়।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যার কিছু অংশ কিয়েভে এবং কিছু অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানিয়েছেন, ন্যাটো সদস্যপদ আলোচনার ‘টেবিলে থাকবে’, তবে ফলাফল কী হবে তা নিশ্চিত নন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ওপর অধিকার দাবি করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য দিয়েছে, এই চুক্তি তার প্রতিফলন হবে। জেলেনস্কি আগে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও এখন বলেছেন, আমরা আমেরিকার সঙ্গে খনিজ সম্পদ নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত। আমরা বিনিময় করতে প্রস্তুত। তবে তিনি বলেছেন, পুতিনকে ‘এই যুদ্ধ শেষ করতে’ বাধ্য করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ট্রাম্পকে তিনি ইউক্রেনের একজন অংশীদার হিসেবে দেখতে চান। তিনি চান কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারীর চেয়ে বড় ভূমিকা রাখুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কি বলেছেন, আমি আসলেই চাই, এটা মধ্যস্থতার চেয়ে বেশি কিছু হোক… এটি যথেষ্ট নয়।
২০১৯ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন জেলেনস্কি। এরপর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রিয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টানা তিন বছর ধরে চলছে যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও ট্রাম্পের এ মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় নেতারা।



