শরীয়তপুরে ডাকাতের চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে নিহত ২

শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের গুলিতে চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় লোকদের গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ শ্রমিকদের ও গুরুতর আহত পাঁচ ডাকাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মাদারীপুরের কালকিনি ও রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরের ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল ডাকাত মাদারীপুরের কালকিনির রাজারচর এলাকায় একটি বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দেন। তখন ডাকাতরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে গুলিতে বাল্কহেডের শ্রমিক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাসুম মিয়া (৩০) ও পিরোজপুরের কালিকাঠীর আলামিন ফকির (১৯) গুলিবিদ্ধ হন। পরে ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়ার ভাষাণনচর এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরই মধ্যে ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা সতর্ক হয়ে যান। পরে ডাকাতরা আবার কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালানোর সময় রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় লোকজন বাল্কহেড দিয়ে ডোমসার এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের নদীপথ আটকে দেন। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা বিস্ফোরণসহ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে বাল্কহেডের শ্রমিক ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার তোতা মিয়া (৩৫) ও স্থানীয় একজন আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন মুন্সিগঞ্জের কালীচর থানার রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুন্ডের চরের আনোয়ার দেওয়ান (৫০), মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরের সজীব (৩০) অজ্ঞাত আরও চারজনসহ সাতজন ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আহত ডাকাতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে অজ্ঞাত দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি পাঁচ ডাকাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক।