
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকা একটি ভালো কর্মসম্পর্ক আমরা সবসময় আশা করি। আমাদের প্রত্যাশা। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশিদের আবার ভিসা দেবে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে উভয় দেশেরই স্বার্থ রয়েছে এবং বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সুসংবাদ আছে কি না—জানতে চাইলে তৌহিদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এটি ভারত সরকারের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত এবং তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
‘তবে, আমরা আশা করি ভারতীয় হাই কমিশন ভ্রমণে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে এবং তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করবে,’ বলেন তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান কমিয়ে দেয়। নয়াদিল্লির কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করলেও ঢাকা এখনো সাড়া পায়নি।
তিস্তা প্রকল্পে চীন কাজ করবে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে এবং এর অধীনে যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশ যেতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, বলেন তিনি।
তৌহিদ আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উন্নয়নের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে যে, অভিযোগটি সত্য নয়।