Top Newsআন্তর্জাতিক

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা ইসরায়েলের

মোহনা অনলাইন

পবিত্র রমজান মাস চলাকালেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে একে “সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল” বলে আখ্যা দিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

রোববার (৯ মার্চ) ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কোহেন বলেছেন, আমি গাজার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশে স্বাক্ষর করেছি।

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গাজার একমাত্র পানির ডেসালিনেশন প্ল্যান্টও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন এক সপ্তাহ আগেই ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চাপ দেওয়ার কৌশল। গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা ইতোমধ্যেই তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। জেনারেটর চালানোর মতো কোনো জ্বালানি নেই, ফলে পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া, রান্নার বিকল্প ব্যবস্থাও নেই, কারণ গ্যাস সিলিন্ডারের মজুদও শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে, আজ সোমবার (১০ মার্চ) কাতারের রাজধানী দোহায় মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি আলোচকরা। মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।

গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। ইসরায়েল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে।

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে এখনও কোনও পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়নি। যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে হামাস এবং ইসরায়েল একে অপরের বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। তবে নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের অন্তত অর্ধেককে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা। প্রথমে ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করা এবং এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার নেপথ্যেও হামাসের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button