
কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পর আর দেরি করেনি। টরন্টোর একটি পানশালা তাদের মেনু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব পণ্য সরিয়ে নেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় কানাডার পর্যটকরা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের আগ্রহ হারাচ্ছেন।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিইও স্কট কিরবি মঙ্গলবার বলেছেন, কানাডা থেকে আসা দর্শনার্থীদের পরিমাণ কমেছে।
ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী জিওফ ফ্রিম্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ শিল্প সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ এখনো প্রাক-মহামারি স্তরের মাত্র ৯০ শতাংশ।
২০২৪ সালে দুই কোটি চার লাখ কানাডিয়ান পর্যটক যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন। এ সংখ্যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। ফ্রিম্যান বলেন, মার্কিন পর্যটকদের তুলনায় ছুটিতে তিনগুণ বেশি ব্যয় করেন কানাডিয়ানরা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা সীমান্তের কাছাকাছি উপকূলীয় শহর ওয়াশিংটনের বেলিংহামে হোটেল বুকিং ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ১০ দশমিক আট শতাংশ কমেছে। একই সময়ে নিউইয়র্কের নায়াগ্রা ফলসে বুকিং কমেছে আট দশমিক এক শতাংশ।
কোস্টারের ইউএস হসপিটালিটির পরিচালক জ্যান ফ্রেইটাগ বলেন, ২০২৪ সালে আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণে প্রভাব ফেলেছিল আবহাওয়া ও বিনিময় হার। তবে এ বছর ভিন্নতা হলো প্রশাসনের বাগাড়ম্বর। ফলে অনেক কানাডিয়ান সীমান্ত পেরোতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করছে।
ফ্রেম বলেন, যখন আমরা বিধিনিষেধ আরোপ করি ও পরিস্থিতি কঠিন করে তুলি। তখন মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করতে না চাই, যা পর্যটনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। তাই আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বছরের বেশি বয়সী সব বিদেশিকে ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করলে ১১ এপ্রিল থেকে তাদের নিবন্ধন ও আঙুলের ছাপ জমা দিতে হবে। কানাডিয়ানরাও ছাড় পাবেন না, যদিও তারা সাধারণত ভিসা ছাড়াই ছয় মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারেন।
ফরোয়ার্ড কিসের মতে, কেবল কানাডা থেকে পর্যটকের সংখ্যা কমছে না। ডেনমার্ক ও জার্মানি থেকে বুকিং আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২৭ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ কমেছে। সামগ্রিকভাবে ইউরোপ থেকে কমেছে মাত্র এক শতাংশ।