Top Newsআন্তর্জাতিক

এবার থাইল্যান্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

থাইল্যান্ড থেকে ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাই সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুরদের জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমি দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।”

রুবিও আরও বলেন, “চীন দীর্ঘদিন ধরে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে আসছে। আমরা আশ্রয়প্রাপ্ত উইঘুরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই।”

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, “চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্র এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ, চীনে ফেরত পাঠানো উইঘুররা গুম, নির্যাতন ও মৃত্যুর শিকার হতে পারে।”

প্রথমবারের মতো থাই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট জানান, “এর আগে কখনো থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। এটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কর্মকর্তাদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।

উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর সময় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আপত্তি জানায় এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দেয়। তবে ব্যাংকক চীনকে অসন্তুষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।  

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, “আইন ও মানবাধিকার মেনেই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button