
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ বন্ধে উভয় নেতা দীর্ঘসময় ফোনে কথা বললেও ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হননি পুতিন।
তবে সাময়িকভাবে ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ অপাতত বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন রুশ এই প্রেসিডেন্ট। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ফোনালাপে ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি কেবল ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন।
৩০ দিনের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পর পুতিন গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এ যুদ্ধবিরতি হতে হবে ইউক্রেন ইস্যুতে সংকটের মূল সমস্যার ওপর ভিত্তি করে। যেটির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটির বিস্তারিত জানতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প এরপর কয়েকবার গণমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যে রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে দেওয়া এবং বিখ্যাত জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের স্বার্থ রক্ষা হলেই কেবল তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ দখল করেছে রাশিয়া। যেগুলোকে তারা এখন নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করছে।
এদিকে, ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ডান স্কাভিনো পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেন। আর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ ফোনালাপের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ডান স্কাভিনোর পোস্টের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয় যে ট্রাম্প ও পুতিন ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাতের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। এ সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই তৎপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।